পটুয়াখালীর গলাচিপায় বীজাগারগুলো তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ ভুতুরে ঘরে পরিণত হয়েছে।
দুর্যোগ মৌসুমে কৃষি বীজ সংকট মোকাবেলায় উন্নত মানের বীজ সংরক্ষণ ও কৃষককে কৃষি তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছিল এই বীজাগার।
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে গড়ে তোলা ৯টি বীজাগারই দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
অবকাঠামোগত অবহেলার কারণে বীজাগারগুলো কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না। সেখানে নেই কোনো কার্যক্রম।
ধ্বংস স্তুপে পরিণত হওয়ায় এ যেন ভুতুরে ঘরের আখড়া খানা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের জন্য বীজাগার বা বীজ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।
আপতকালের জন্য বীজ সংরক্ষণ ও কৃষি তথ্য সেবার পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস ও আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল।
যাতে কৃষকরা কৃষি পরিসেবা দোড় গোড়ায় পান। কিন্তু নানা সংকটে এগুলো এখন অকার্যকর। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার না করায় বীজাগারের অতি পুরনো পাকা স্থাপনা বা অবকাঠামোগুলো ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
সেখানে বীজ সংরক্ষণ, কৃষি প্রযুক্তি সুরক্ষা ও কৃষি বিভাগের কোনো দাপ্তরিক কার্যক্রমই চলছে না।